পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০মিনিটে ডিজিটাল সুইচ টিপে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি। পরে নিজে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গা রেল জংশনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা পাড়ি দেয়ার সময় তার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন তিন বাহিনীর প্রধানরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান ও নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। ফটোসেশনে আরও অংশ নেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনবিপি, বিসিজিএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক। এ সময় পাশে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের মাধ্যমে রেলপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এল রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি। রেলপথে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমল ২১২ কিলোমিটার। স্বল্প সময়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল। চীনের ঋণে প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রেলপথের রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার চালু হচ্ছে আজ। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলবে।